Header Ads

১০ম শ্রেনির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর-২০২২

বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ১০ম শ্রেণি ৩য় সপ্তাহের-২০২২

আসসালামু অলাইকুম। "বন্ধু পাঠশালা" -তে আপনাকে স্বাগতম। 

গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ মাউশি প্রকাশ করেছে "২০২২ শিক্ষাবর্ষে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য (৩য় সপ্তাহের) অ্যাসাইনমেন্ট"

"বন্ধু পাঠশালা" -এ পাঠকদের জন্য আমরা প্রতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর নমুনা উত্তর প্রকাশ করবো। 

প্রতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। 

আজ থকছে "১০ম শ্রেনির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর"


শ্রেণি: ১০ম, পত্র: প্রথম, বিষয় কোড: ১০১, বিষয়: বাংলা

অ্যাসাইনমেন্ট নম্বর:-০২

অ্যাসাইনমেন্ট (শিরোনামসহ):- ‘প্রবাস বন্ধু’ রচনায় প্রতিফলিত সমাজ ও সংস্কৃতির পরিচয়

শিখনফল/বিষয়বস্তু

৬.২: পরিচিত জগৎ ও নিজের অভিজ্ঞতার বিষয় ব্যক্ত করতে পারবে।

১২.২: অপর জাতি, দেশ ও তার সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধার মনোভাব প্রকাশ করতে পারবে।

অ্যাসাইনমেন্ট প্রণয়নের নির্দেশনা (ধাপ/পরিধি/সংকেত)
নির্দেশনা:

♣ পাঠ্যবই থেকে ‘প্রবাস বন্ধু রচনাটি পড়তে হবে।

কাজের ধাপ:

১। সমাজ ও সংস্কৃতির ধারণা দিতে হবে।

২। ‘প্রবাস বন্ধু’ অবলম্বনে আফগানিস্তানের সমাজ ও সংস্কৃতির পরিচয় দিতে হবে।

৩। বাংলাদেশের সঙ্গে আফগানিস্তানের সমাজ ও সংস্কৃতির তুলনা করতে হবে।

৪। ‘প্রবাস বন্ধু’ রচনায় লেখকের যে রসবোধের পরিচয় পাওয়া যায়, তা লিখতে হবে।
প্রবাস বন্ধু’ অবলম্বনে আফগানিস্তানের সমাজ ও সংস্কৃতির পরিচয় দিতে হবে।

১০ম শ্রেনির বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর


উত্তর:


ক) প্রকৃতি ও পরিবেশ: লেখক আফগানিস্তান ভ্রমণকালে কাবুল শহর থেকে আড়াই মাই । দূরের খাজামোল্লা গ্রামে বাসা নেন। গ্রামটির পাশেই রয়েছে পাগমানের পাহাড়। শীতকালে পাহাড়ের গায়ের বরফ নিচে গর্ত খুঁড়ে তাতে ভর্তি করে রাখা হয়। গরমকালে প্রয়োজন মতো সেখান থেকে তা বের করা হয়।

কাবুল শহরের পাশ দিয়েই একটি নদী বয়ে গেছে। নদীটির নাম লব-ই-দরিয়া। লেখকের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা আবদুর রহমানের বাড়ি উত্তর আফগানিস্তানের পানশির এলাকায়। সেখানে শীতকালে টানা কয়েকদিন ধরে তুষারপাত হয়। সেখানকার মানুষের চেহারায়ও তীব্র শীতের ছাপ স্পষ্ট। সবমিলে আফগানিস্তানের প্রস্তরভূমি ও বরফশীতল জলবায়ু আকর্ষণীয়।


খ) খাদ্যাভ্যাসের ধরন: এ রচনায় লেখক আফগানদের ভোজনবিলাসের দিকটি অত্যন্ত সুন্দর ও হাস্যরসাত্মকভাবে তুলে ধরেছেন। বাসা নেওয়ার প্রথমদিন । লেখকের জন্য রান্নার আয়োজনের যে বর্ণনা আমরা পাই তাসত্যিই অবাক হওয়ার মতো।

গামলা ভর্তি কোরমা, শামী কাবাব, ঝুড়ি ভর্তি কোফতা-পোলাও, মুরগির রোস্টসহ আরও নানা আয়োজনের যে বর্ণনা রয়েছে সেখানে গড়পরতা বাঙালিদের খাবারের পরিমাণের তুলনায় অনেক বেশি। তাছাড়া সেখানকার চায়ের রং সবুজ। পেয়ালায় ঢাললে তা ফিকে হলদে রঙের মনে হয়। কাবুলের অধিবাসীরা ছোটো সাইজের পেয়ালায় একসঙ্গে পাঁচ-ছয় কাপ চা খায়।


গ) বাংলাদেশের সঙ্গে আফগানিস্তানের সমাজ ও সংস্কৃতির

তুলনাঃ

১. তুলনার বিষয়:- প্রাকৃতিক পরিবেশ

আফগানিস্তান:- আফগানিস্তানের অধিকাংশ এলাকাতেই অধঃ-সমেরুদেশীয় পার্বত্য জলবায়ু বিদ্যমান। এখানে শীতকাল শুষ্ক ।নিম্নভূমিতে জলবায়ু ঊষর ও অর্ধ-ঊষর। পর্বতগুলিতে ও পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী কিছু উপত্যকায় মৌসুমী বায়ু নিরক্ষদেশীয় সামুদ্রিক ভেজা বাতাস বহন করে নিয়ে আসে আফগানিস্তানে মূলত দুইটি ঋতু। গরম গ্রীষ্মকাল এবং অত্যন্ত শীতল শীতকাল।


বাংলাদেশ:- বাংলাদেশের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ । আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপর ভিত্তি করে ৬টি ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে যথা: গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত ।

২. খাদ্যাভ্যাস :-

আফগানিস্তান:- আফগানিস্তানে মানুষ অত্যন্ত ভোজনবিলাসী তাদের খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ বাংলাদেশের মানুষের চেয়েও বেশি কাবুলের অধিবাসীরা ছোটো সাইজের পেয়ালায় একসঙ্গে পাঁচ- ছয় কাপ চা খায় ৷ গামলা ভর্তি কোরমা, শামী কাবাব, ঝুড়ি ভর্তি কোফতা-পোলাও, মুরগির রোস্টসহ আরও নানা আয়োজনের যে বর্ণনা রয়েছে সেখানে গড়পরতা বাঙালিদের খাবারের পরিমাণের তুলনায় অনেক বেশি৷

বাংলাদেশ :- যদিও আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী তারপরেও আমাদের রয়েছে খাদ্যের নানা ধরনের বৈচিত্র। যেমনঃ মাছ, মাংস, পোলাও, বিরিয়ানি ডিম, কোরমা, তেহারী রসগোল্লা, দধি ইত্যাদি। চা এবং পান-সুপারি আমাদের আতিথিয়তার নিত্যদিনের অংশ। আমাদের খাদ্যে গ্রহনে বৈচিত্র্য থাকা সত্ত্বেও আমাদের খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ আফগানিস্তানের লোকেদের চেয়ে নিতান্তই অল্প।

৩. জীবনযাপন :-

আফগানিস্তান:- এদের জীবনযাত্রা সহজ সরল। এরা আড্ডাবাজ স্বভাবের, অত্যন্ত দায়িত্বশীল দেশপ্রেমী ও কর্তব্য পরায়ণ।

বাংলাদেশ :-বাঙালিরা অতিথি পরায়ণ, দেশপ্রেমী, বন্ধুসুলভ আড্ডাবাজ এবং কর্তব্য পরায়ন বাঙালিরা তাদের জীবনযাত্রায় বাঙালি সংস্কৃতির সাথে তাল রেখে সহজ সরল জীবনযাপনে অভ্যস্থ।


ঘ) প্রবাস বন্ধু' রচনায় লেখকের যে রসবোধের পরিচয় পাওয়া যায়, তা লিখতে হবে।

উত্তর:

১) ‘তোমার বন্ধুটার সত্র তামার তনুটা মিলিয়ে দেখো দিখিনি। আফগানিস্তানে লেখকের সেবক আবদুর রহমানকে তার বিশাল দেহের সাথে লেখকের ক্ষীণ দেহ মিলিয়ে দেখার প্রসঙ্গে আলোচ্য উক্তিটি করা হয়েছে।

২) রাত দুটোয় খাবার জুটলেও জুটতে পারে। আবদুর রহমানের রান্নার আয়োজন দেখে লেখক মনে করেছিলেন রান্না করতে অনেক রাত হয়ে যাবে। তাই তিনি রসিকতা করে একথা বলেছেন।

৩) কার গোয়াল,কে দেয় ধুয়ে চাকর আবদুর রহমান খাওয়াতে পেরে আনন্দিত— সে অবস্থায় তাকে খেতে বলা অর্থহীন— এ প্রসঙ্গে উক্তিটি করা হয়েছে ।

৪) তোমার খুশির জন্য নয়, আমার প্রাণ বাঁচানোর জন্য। আবদুর রহমান লেখককে পানশিরের বরফ পতনের সৌন্দর্যের বর্ণনা দিয়ে বলে সাতদিন জানালার ধারে বসে থেকে শুধু এর সৌন্দর্য দেখে কাটানো যায়। তাই লেখক পানশিরে যেতে চাইলে আবদুর রহমান অনেক খুশি হয়।

এতে আবদুর রহমান খুশি হলে লেখক মজা করে বলেন, তিনি পানশিরে যাবেন আবদুর রহমানের খুশির জন্য নয়, বরং নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য। কেননা, আবদুর রাহমান। | যদি পানশিরে বসে থাকেন তবে লেখকের রান্না করার মানুষ থাকবে না ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.