Header Ads

দশম শ্রেণীর তৃতীয় সপ্তাহের ভূগোল অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর 2022

ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ১০ম শ্রেণি ৩য় সপ্তাহের-২০২২

আসসালামু অলাইকুম। "বন্ধু পাঠশালা" -তে আপনাকে স্বাগতম।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ মাউশি প্রকাশ করেছে "২০২২ শিক্ষাবর্ষে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য (৩য় সপ্তাহের) অ্যাসাইনমেন্ট"
"বন্ধু পাঠশালা" -এ পাঠকদের জন্য আমরা প্রতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর নমুনা উত্তর প্রকাশ করবো। 
প্রতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। 
আজ থকছে "১০ম শ্রেনির ৩য় সপ্তাহের ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর"

ভূগোল অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর


('ক' নং প্রশ্নের উত্তর)

মানচিত্রের ধারণা:-

পৃথিবীর মহাদেশ এবং মহাসাগরসমূহের বিভিন্ন অংশের সীমা, আয়তন, অবস্থান এবং তাদের মধ্যকার পারস্পরিক দূরত্ব বুঝানোর জন্য নির্দিষ্ট মাপনীর (Scale) প্রেক্ষিতে সমগ্র ভূ পৃষ্ঠের অংশবিশেষের যে নকশা প্রস্তুত করা হয়, তাকে মানচিত্র বলে। বিভিন্ন প্রকার সংকেত এবং রং (কালার) ব্যবহারের মাধ্যমে ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানগুলোর পারস্পরিক দূরত্ব, আয়তন ও সীমা ঠিক রেখে প্রাকৃতিক বিভিন্ন প্ৰশক্ষ এবং অর্থনৈতিক বিষয়াদি শিল্প-কারখানা এবং নগর বিষয়ক বিষয়াদী প্রভৃতি মানচিত্রে বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে দেখানো হয়। বিশেষ মান ভিত্তিক এ চিত্র অঙ্কিত হয় বলে একে মানচিত্র বলে। মানচিত্র অঙ্কনের জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন স্কেল ও অভিক্ষেপ। ভূগোলবিদদের মতে “প্রচলিত সাংকেতিক চিহ্ন, নির্দিষ্ট স্কেল ও অভিক্ষেপের সাহায্যে সমতল কাগজের উপর অঙ্কিত সমগ্র পৃথিবী বা এর অংশবিশেষের প্রতিরণকে মানচিত্র বলে"। 

স্কেল অনুসারে মানচিত্র দুই প্রকার। যথাঃ

১। ক্ষুদ্র স্কেলের মানচিত্র: যখন ব্যাপক এলাকাকে ছোট করে কাগজে অঙ্কন করা হয় তখন তাকে ক্ষুদ্র স্কেলের মানচিত্র বলে। এ ক্ষেত্রে সমগ্র পৃথিবী বা মহাদেশ বা দেশের বড় এলাকাকে একটি ছোট কাগজে দেখানো হয়। ভূ-চিত্রাবলীর মানচিত্র ও দেওয়াল মানচিত্র ক্ষুদ্র স্কেলের মানচিত্র।

২. বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র:- ক্ষুদ্র এলাকাকে বৃহৎ স্কেলে অঙ্কন করে যখন অনেক বড় করে দেখান হয়, তখন তাকে বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র বলে। যেমন, ১-১৬ মাইল; ১৬"=১মাইল। যেমনঃ মৌজা মানচিত্র বা ক্যাডাস্ট্রাল মানচিত্র, ভূ-সংস্থানিক মানচিত্র বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র।


(খ নং প্রশ্নের উত্তর)


ভূসংস্থানিক মানচিত্রের ধারণাঃ ভূসংস্থানিক এর আরেক নাম হচ্ছে স্থানীয় বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র। এই মানচিত্রগুলো প্রকৃত জরিপকার্যের মাধ্যমে প্রস্তুত এর মধ্যে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক দুই করা হয়। সাধারণত ধরনের উপাদান দেখতে পাওয়া যায়। এই ধরনের মানচিত্রের স্কেল একেবারে ছোট না হলেও মৌজা মানচিত্রের মতো। বৃহৎও নয়। এই মানচিত্রগুলোডে কিন্তু জমির সীমানা দেখানো হয় না। ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে পাহাড়, মালভূমি, সমভূমি, নদী, উপত্যকা, হ্রদ প্রভৃতি দেখানো হয়। 
অন্যদিকে
সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য হিসেবে রেলপথ, হাটবাজার, পোস্ট অফিস, সরকারি অফিস, খেলার মাঠ, মসজিদ, মন্দির প্রভৃতি নিখুঁতভাবে দেখানো হয়। বর্তমান যুগে বিমান থেকে ছবি ভোলার মাধ্যমে এই মানচিত্রের নবযুগের সূচনা হয়। এই মানচিত্রের স্কেল ১:২০,০০০ হলে ভালভাবে বৈশিষ্ট্যগুলো প্রকাশ সায়। বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন স্কেলে এই মানচিত্র তৈরি করে।



(“গ নং প্রশ্নের উত্তর)
বাংলাদেশের মানচিত্রে আন্তর্জাতিক প্রচলিত প্রতীক চিহ্নের ব্যবহার:-




কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.