Header Ads

২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ১৩শ সপ্তাহের ইংরেজি এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট উত্তর

 

 SSC 2022 13 week assignment answer

আসসালামু অলাইকুম। "বন্ধু পাঠশালা" -তে আপনাকে স্বাগতম।  

গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ মাউশি প্রকাশ করেছে "২০২২ শিক্ষাবর্ষে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য (৩য় সপ্তাহের) অ্যাসাইনমেন্ট" 

"বন্ধু পাঠশালা" -এ পাঠকদের জন্য আমরা প্রতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর নমুনা উত্তর প্রকাশ করছি।  

প্রতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।  

আজ থকছে "এসএসসি ২০২২ ১৩শ সপ্তাহের ইংরেজি এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর"



SSC English Assignment Answer 2022-13th week

Answer to the question no-01 Present some pictures of adverse impact of environmental change in our own locality.

The images you see above are an example of our changing environment. It can be said that due to natural calamities some time of the year our environment becomes like this.


Answer to the question no-02

The reasons of these environmental changes of climate change are given below: One of the main causes of climate change is human unconsciousness. Natural disasters abuse of the environment. It can be said that due to natural calamities some time of the year our environment becomes like this. And every time factory waste, washing and even traffic jams make our environment very bad. This is why we are always tired.


Answer to the question no-03

Impact of these changes: these changes are affecting people's life and ecology: An UN panel on climate change has warned that immediate action could affect the livelihoods of many people around the world. Bangladesh is one of the most threatened countries. The threat to the livelihood of millions of people along the coast of Bangladesh has come up in various reports. Scientists say the IPCC report is the most comprehensive report ever made on the effects of climate change.

According to the report, human health, housing and food will be threatened by climate change. Scientists at the UN'S IPCC say the impact of climate change, which they saw in the report in 2006, has doubled. IPCC chief Rajendra Pachauri says the matter is serious. He said there could be no reason to ignore the information in the report. Because the information in this report is quite extensive said Mr. Pachauri. How much is Bangladesh threatened? And how much do people know about him? Bangladesh is one of the few countries in the world that is under threat due to climate change.


Answer to the question no-04

Prevent these adversities: This years theme for World Environment Day is 'Ecosystem Restoration. It is not possible to go back to the past in the present dark situation. But we can plant trees, make the city around us greener, rebuild our home gardens, change our diet, and keep rivers and coasts clean. We are a generation that can maintain the peace of nature through all this. And that is why this theme has been chosen this year.

Movements and discussions on climate change have been going on all over the world in recent decades. Experts believe that people should learn from the coronavirus experience. Everyone should play their due role in keeping this world habitable. In order to protect the environment, we all need to be aware and plant more trees without indiscriminate deforestation and we have to take an oath that if a tree is cut down somewhere, one hundred trees should be planted in that place instead of one tree.

Different schools, colleges, universities also have to play a strong role in the implementation of tree planting programs and the government needs to make the people more enthusiastic about tree planting so that the balance of the environment maintained. can be maintained.


-----------------------++++++++-------------------------------

২০২২ সালের এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের জন্য অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১৩তম সপ্তাহের সমাধান।


তারিখ: ২৫ফেব্রুয়ারি, ২০২২

বরাবর,

প্রধান শিক্ষক,

“ক” উচ্চ বিদ্যালয়।

নড়াইল। 

বিষয়: আমার এলাকার জনসংখ্যাকে যেভাবে মানব সম্পদে পরিণত করতে পারব তার ওপর একটি প্রতিবেদন।

জনাব, বিনীত নিবেদন এই যে, আপনার আদেশ নং স.ই.উ.বি ৩২৯/৮ তারিখ: ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ অনুসারে "আমার এলাকার জনসংখ্যাকে যেভাবে মানব সম্পদে পরিণত করতে পারব তার ওপর একটি প্রতিবেদন নিম্নে পেশ করছি।


রাষ্ট্রের ধারণাঃ

প্রত্যেক মানুষ কোনো না কোনো রাষ্ট্রে বসবাস করে। হঠাৎ করে কোনো রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়নি। আদিম মানুষ প্রথমে গোত্রভিত্তিক বসবাস করত। সময়ের পরিবর্তনে একসময় রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়। মানুষই রাষ্ট্র সৃষ্টি করে। রাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রত্যেক নাগরিকেরই রাষ্ট্রের নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। রাষ্ট্রে বসবাসকারী জনগণকে ঐ রাষ্ট্রের নাগরিক বলা হয়। নাগরিকদের সুন্দর সুষ্ঠুভাবে বাঁচার জন্য রাষ্ট্র অনেক কাজ করে থাকে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও রাজনৈতিক তষবিদরা রাষ্ট্রকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। অ্যারিস্টটলের মতে, ‘স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবনের জন্য কতিপয় পরিবার ও গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনই রাষ্ট্র।'

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আর. এম. ম্যাকাইভারের মতে, 'রাষ্ট্র হচ্ছে সরকার কর্তৃক প্রণীত আইন দ্বারা পরিচালিত একটি সংগঠন, যার কর্তৃত্বমূলক ক্ষমতা রয়েছে এবং যা নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে বসবাসরত অধিবাসীদের ওপর বলবৎ হয়। অধ্যাপক গার্নার রাষ্ট্রের সবচেয়ে সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'রাষ্ট্র হলো বহুসংখ্যক ব্যক্তি নিয়ে গঠিত এমন এক জনসমাজ, যারা নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করে, যা বহির্শক্তির নিয়ন্ত্রণ হতে মুক্ত এবং যাদের একটি সুসংগঠিত সরকার আছে, যে সরকারের প্রতি ঐ জনসমাজ স্বভাবতই অনুগত। সুতরাং, আমরা বলতে পারি, রাষ্ট্র হলো একটি ভূখণ্ডভিত্তিক সমাজ বিশেষ, যার সংগঠিত সরকার ও জনসমষ্টি রয়েছে এবং যার নিজস্ব ভৌগোলিক এলাকার মধ্যে অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানের ওপর সার্বভৌম ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত আছে।


নাগরিকের ধারণাঃ

রাষ্ট্র গঠনের একটি পূর্বশর্ত হলো জনসমষ্টি। যখন একটি রাষ্ট্র পূর্ণাঙ্গভাবে আত্মপ্রকাশ করে তখন সেই জনসমষ্টি রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হয়। রাষ্ট্রের সাথে নাগরিকের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। রাষ্ট্রের নাগরিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্যজ্ঞানের ওপর রাষ্ট্রের কার্যক্রমের সফলতা ও ব্যর্থতা নির্ভর করে। নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং কীভাবে সুনাগরিক হওয়া যায় তা আমাদের জানতে হবে। ল্যাটিন শব্দ Civis থেকে Citizen বা নাগরিক শব্দটির উৎপত্তি হয়। পৌরনীতি পাঠের মূল বিষয়বস্তু হলো-নাগরিকত্ব ও রাষ্ট্র। সাধারণত নাগরিক শব্দটি দ্বারা নগরে বসবাসরত অধিবাসীকে বোঝায়।

একসময়ে যারা শাসনকার্যে সরাসরি জড়িত থাকতেন, তাদেরকেই কেবল  নাগরিক হিসেবে ধরা হতো। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক অ্যারিস্টটল নাগরিকের সংজ্ঞায় বলেছেন, 'সে ব্যক্তিই নাগরিক যে নগর রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব ও শাসনকার্যে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। তিনি তার ধারণায় অধিকাংশ জনগণকে নাগরিক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেননি। তার মতে অধিকাংশেরই জযথাযথভাবে নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করারসামর্থ্য কিংবা অফুরন্ত সময় নেই। গ্রিক নগররাষ্ট্রে এ যুক্তিতে দাস এবং নারীদের নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হতো না এবং তারা রাষ্ট্রীয় কাজে অংশগ্রহণ করতে পারত না। বর্তমানে নগর রাষ্ট্রের স্থলে জাতীয় রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়েছে।

আধুনিক রাষ্ট্রসমূহ আয়তনে অনেক বড়, এখানে জনসংখ্যাও বেশি এবং নাগরিক সুবিধাসমূহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সকলেই ভোগ করে। কিন্তু এত বিপুল জনসমষ্টিকে সরাসরি শাসনকার্যে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব নয়। তাই নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে জনগণের শাসনকার্যে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের স্থলে রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন এবং যারা রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও অন্যান্য সুবিধা ভোগ করেন এই মাপকাঠি ধরা হয়েছে। আধুনিক ব্রিটিশ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হ্যারল্ড জে'লাস্কি তার নাগরিকের সংজ্ঞায় বলেছেন, 'যে ব্যক্তি রাষ্ট্রের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে এবং রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে তাকেই নাগরিক বলা হয়।

অধ্যাপক গেটেল বলেন, নাগরিক হচ্ছে রাজনৈতিক সমাজের সেসব সদস্য, যারা উক্ত সমাজের প্রতি কর্তব্য পালনে বাধ্য থাকেন এবং সমাজ থেকে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা লাভের অধিকারী হন। সুতরাং, নাগরিকত্ব বলতে বোঝায়, রাষ্ট্রের রাজনৈতিক অধিকার, নাগরিক সুবিধা ভোগ করা এবং রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে বাধ্য হওয়া। বৃহৎ অর্থে, নাগরিক হচ্ছেন তিনি, যিনি ঐ রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসকরেন এবং রাষ্ট্রের আইন, সংবিধান ও অন্যান্য নির্দেশের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন। রাষ্ট্রের কল্যাণ সাধনে নিজের কর্মের মাধ্যমে ভূমিকা রাখেন এবং রাষ্ট্র কর্তৃক বণ্টনকৃত সকল সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করেন।

রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে সকলেই সমান। বর্তমানে নারী-পুরুষ, ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে সকলেই নাগরিকত্ব অর্জন করতে পারে।


কোভিড মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধিগণের গৃহীত কর্মসূচি রাষ্ট্রের কোন ধরণের কার্যাবলির আওতায় পড়ে তার ব্যাখ্যাঃ

কোভিড মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধিগণের গৃহীত কর্মসূচি রাষ্ট্রের ঐচ্ছিক বা জনকল্যাণমূলক কাজ কার্যাবলির আওতায় পড়ে তার নিম্নে ব্যাখ্যা হলো আধুনিক রাষ্ট্র জনকল্যাণে অনেক জনহিতকর কাজ করে। যেমন, চিত্তবিনোদনের জন্য খেলার মাঠ নির্মাণ, সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা কিংবা রেডিও টেলিভিশনে আনন্দদায়ক অনুষ্ঠান প্রচার।

এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য প্রদান ও পুনর্বাসন, মহামারী ও দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধের মত কাজগুলো আধুনিক রাষ্ট্রের জনহিতকর কাজের অন্তর্ভূক্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় পর্যায়ে গরিব-অসহায় দুস্থদের তালিকা প্রণয়ন করে ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, গ্রাম ও শহর পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই তালিকা প্রস্তুতিতেও এই কার্যক্রম পরিচালনায় স্থানীয় প্রশাসনকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য তথা দেশের প্রতিটি নাগরিকের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা রক্ষায় বৃদ্ধপরিকর। তিনি বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবিলার জন্য নিরলসভাবে সকল ধরনের প্রস্তুতি নিতে চলেছেন। দেশবাসীর সম্মিলিত সচেতনতা, সতর্কতা ও স্বাস্থ্যবিধি মানাই পারে ভয়াবহ এই সংকট থেকে আমাদের রক্ষা করতে। বাংলাদেশ তথা বিশ্ববাসীর এই ক্রান্তিলগ্নে সকলকে ধৈর্য, সতর্কতা, দায়িত্বশীলতা, মানবিকতা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।

প্রতিবেদকের নামঃ তোমার নাম লিখবে

প্রতিবেদনের ধরনঃ প্রাতিষ্ঠানিক

প্রতিবেদন তৈরির সময়ঃ সন্ধ্যা ০৭ : ১৫ মিনিট প্রতিবেদন তৈরির তারিখঃ ২৫/০২/২০২২ ইং।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.