Header Ads

৭ম শ্রেনির ৪র্থ সপ্তাহের ইংরেজি এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২


৭ম শ্রেনির ৪র্থ সপ্তাহের ইংরেজি অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২



৭ম শ্রেনির ৪র্থ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২



খ. সাংস্কৃতিক ভিন্নতা চিহ্নিতকরণ:

ধর্ম, ভাষা, সম্প্রদায় বিচারে সাংস্কৃতিক ভিন্নতা নিচে তুলে ধরা হলো:

ধর্ম বিচারে সাংস্কৃতিক ভিন্নতাঃ ধর্ম মানুষের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে খুবই বড় ভূমিকা পালন করে। এক এক ধর্মের এক এক উৎসব যেমন মুসলমানদের ঈদ উৎসব, হিন্দুদের দুর্গা পুজা, বৌদ্ধদের বৌদ্ধ পূর্ণিমা, খ্রিষ্টানদের বড় দিন ইত্যাদি।

ভাষা বিচারে সাংস্কৃতিক ভিন্নতাঃ বাংলাদেশের অধিকাংশ বাংলা ভাষায় কথা বলে। অপরদিকে চাকমা, মারমা, গারো, খাসিয়া ইত্যাদি ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের ভিন্ন ভিন্ন ভাষা রয়েছে। এদেশের মানুষের প্রধান ভাষা বাংলা হলেও এই ভাষার মধ্যে দিনে দিনে অনেক ভাষার মিশ্রণ ঘটেছে। বাংলা ভাষায় খোঁজ করলে পাওয়া যায় অস্ট্রিক, দ্রাবিড়, সংস্কৃত ইত্যাদি অনেক বিদেশী ভাষার মিশ্রণ।

সম্প্রদায় বিচারে সাংস্কৃতিক বৈচিত্রঃ ধর্ম এবং ভাষার মতো সম্প্রদায়ের দিক থেকেও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য দেখা যায় বাংলাদেশে। এদেশের ধর্ম সম্প্রদায়গুলো দর্শনীয় আচার অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রত্যেকের আলাদা সামাজিক জীবন যাপন পদ্ধতি আছে। সামাজিক আচার অনুষ্ঠান পালনে এক এক সম্প্রদায়ের এক এক ধরনের নিয়ককানুন পালনে রয়েছে ভিন্নতা।


গ. গ্রাম ও শহরের সংস্কৃতির উপাদান:

গ্রাম ও শহরের মধ্যে ৪টি সাংস্কৃতিক ভিন্নতা চিহ্নিত করে নিচে ব্যাখ্যা করা হলো:

১. পেশাগত সাংস্কৃতিক ভিন্নতা:

গ্রামের মানুষ নানা ধরনের পেশার সাথে যুক্ত । যে সব পেশাজীবী গ্রামে বাস করে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কৃষক, জেলে, তাঁতি, কামার, কুমার, মাঝি, দর্জি, কবিরাজ, ডাক্তার ইত্যাদি।

২. পোষাকগত সাংস্কৃতিক ভিন্নতা:

একসময় গ্রামের মানুষ সাধারণ পোশাক পরতেন। পুরুষেরা লুঙ্গি পরে খালি গায়ে অথবা গেঞ্জি বা ফতুয়া পরে কৃষি কাজ করেন। মেয়েরা সাধারণত সুতির শাড়ি পরিধান করে। কিশোর ছেলেরা লুঙ্গি-শার্টের পাশাপাশি প্যান্ট শার্ট পরিধান করে। মেয়েরা ফ্রক, সালোয়ার কামিজ আর শাড়ি পড়ে।

পক্ষান্তরে শহরের মানুষের মধ্যে পোষাকগত বেশ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। পুরুষেরা প্যান্ট, শার্ট, কোট, টি-শার্ট পরিধান করে আর মেয়েরা শাড়ি সালোয়ার কামিজ এবং আধুনিক পোষাক পরিধান করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করে।


৩. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগত পার্থক্য”

গ্রামের মানুষেরা বিভিন্ন পালা পার্বন, যাত্রা, লাঠিখেলা, নৌকাবাইচ ইত্যাদি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আয়োজন করে থাকে।
শহরের মানুষেরা বিভিন্ন পার্টি, বিভিন্ন ধরনের কনসার্ট, সিনেমা দেখা ইত্যাদি মাধ্যমে অবসর সময় পার করে থাকে।

৪। খাদ্যাভাসগত পার্থক্যঃ

গ্রামের মানুষ সাধ্যমতো মাছ, ভাত, শাকসবজি, ডাল ইত্যাদি খায়। নানা ধরনের পিঠাপুলি তৈরি হয়। গ্রামের অনেক শাকসবজি ফলিয়ে নিজেদের খাবারের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করে থাকে।

ভাত, মাছ মাংস খেলেও শহুরে মানুষের খাবারে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। শহরের মানুষের অনেকেই ফাস্ট ফুডের দোকানে যায়। তাদের অনেকের কাছে স্যান্ডউইচ, বার্গার ইত্যাদি 


ঘ. বাঙালি সংস্কৃতি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতির মধ্যে ভিন্নতা নিরূপণ

১। উৎসবগত ভিন্নতা: বাঙালি সংস্কৃতি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতির উৎসবগত ভিন্নতা রয়েছে। বাঙালি উৎসব গুলোর মধ্যে চৈত্র সংক্রান্তি, নববর্ষ, পহেলা ফাল্গুন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য অপরদিকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতির মধ্যে বৈসুক, বিজু, বৈসাবি ইত্যাদি উৎসব অন্যতম।

২। লোকবিশ্বাসগত ভিন্নতা: পূর্বে গ্রাম বাংলার মানুষের মাঝে লোকবিশ্বাস প্রবনতা বেশি থাকলেও বর্তমানে বাঙালি সংস্কৃতিতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় তা দিন দিন উঠে যাচ্ছে। অপরদিকে অন্য সব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মতো বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে নানাধরনের বিশ্বাস কাজ করে।

৩। পোশাকগত ভিন্নতা: বাঙালি সংস্কৃতিতে বাঙালিরা সাধারণত পুরুষেরা লুঙ্গি, প্যান্ট, গেঞ্জি, মেয়েরা শাড়ি, সেলোয়ার কামিজ ইত্যাদি পরিধান করে। পক্ষান্তরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা পিনোন, থামি, ওরাওঁরা ধুতি ও শার্ট পরিধান করে।

৪। খাদ্যগত ভিন্নতা: বাঙালি সংস্কৃতিতে যারা যার ধর্ম মতে হালাল খাবার গ্রহণ করে থাকে। পক্ষান্তরে কোনো কোনো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ বিশ্বাস করে একটি নির্দিষ্ট প্রাণী হচ্ছে তাদের গোত্রের প্রতীক। পাবর্ত চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নাপ্পি বা সিঁদোল অতি প্রিয়। ভাত থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি এক ধরনের পানীয় অধিকাংশ নৃগোষ্ঠীর মানুষের কাছে বিশেষ প্রিয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.