Header Ads

এসএসসি ২০২২ ১৫শ সপ্তাহের অর্থনীতি অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

এসএসসি ২০২২ ১৫শ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর



 ক নং প্রশ্নের উত্তর
অর্থনৈতিক কাজের ব্যাখ্যা: মানুষের যেসব কার্যাবলি দ্রব্য বা সেবার উৎপাদন ও ভোগের সাথে সম্পর্কিত সেসব অর্থনৈতিক কার্যাবলি বলা হয়। অর্থাৎ যেসব কাজ অর্থ আয় ও ব্যয়ের সাথে জড়িত তাই অর্থনৈতিক কাজ। এসব কার্যাবলির মাধ্যমে সম্পদের সৃষ্টি হয় এবং এগুলো জাতীয় আয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়।

 উদাহরণস্বরূপ বলা যায় শিক্ষকের শিক্ষকতা, ডাক্তারের সেবা, কৃষকের পরিশ্রম, শ্রমিকের কলকারখানায় কাজ সবই অর্থনৈতিক কাজ।
সুতরাং যেসব কাজের বিনিময় মূল্য আছে অর্থাৎ যেসব কাজের বিনিময়ে অর্থ দিতে হয় সেগুলোই অর্থনৈতিক কাজ। যেমন : একজন শ্রমিক ৮ ঘন্টা কাজ করে ৫০০ টাকা মজুরি পায়।

অ-অর্থনৈতিক কাজের ব্যাখ্যাঃ মানুষের যেসব কার্যাবলি অর্থ আয়ের সাথে সম্পর্কিত নয় কিন্তু এসব কাজ থেকে মাঝে মধ্যে সন্তুষ্টি লাভ করা যায়, সে সমস্ত কার্যাবলিকে অ-অর্থনৈতিক কার্যাবলি বলে। এসব কাজ জাতীয় আয়ে কোনো প্রভাব ফেলে না। মানুষ সামাজিক দায়িত্ববোধ ও মানসিক প্রশান্তি লাভের জন্য এসব কাজ করে থাকে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় মা-বাবার সন্তান লালন পালন, খেলাধুলা ও ব্যায়াম করা, পরিবারের দেখাশুনা করা, ধর্ম চর্চা করা, অসহায় ও বিপদে পতিত মানুষকে সাহায্য করা ইত্যাদি।

খ নং প্রশ্নের উত্তর

আমার পরিবারের অর্থনৈতিক কাজের তালিকা: আমার পরিবারের নানাবিধ অর্থনৈতিক কার্যক্রম সংগঠিত হয়ে থাকে তারমধ্যে ১০টি অর্থনৈতিক কাজ তুলে ধরা হললো:-

১। ব্যবসার উদ্দেশ্যে গরু ক্রয় করা।
২। মুরগির ফার্মের থাবার ক্রয় করা।
৩। কৃষি কাজ করা।
৪। মাছের থামারের থাবার ক্রয় করা।
৫। ধান বিক্রয় করা।
৬। মাছের খামারের মাছ বিক্রি।
৮। ১,০০,০০০ টাকার গরু বিক্রি।
৯। শ্রমিককে ৫০০ টা প্রদান।
১০। শিক্ষকতা।

আমার পরিবারের অ-অর্থনৈতিক তালিকা: আমার পরিবারের নানাবিধ অ অর্থনৈতিক কার্যক্রম সংগঠিত হয়ে থাকে তাদের মধ্যে ১০টি অ-অর্থনৈতিক কাজ তালে ধরা হলো:-

১। ঈদগা মাঠের জন্য ৫০০০ টাকা দান করা।
২। মায়ের জন্য শাড়ি ক্রয়।
৩। বাবার জন্য পাঞ্জাবি ক্রয়।
৪। ভিখারিকে ভিক্ষা দেওয়।
৫। খেলার জন্য ব্যাট, স্টাম, বল, ক্রয় করা।
৬। শরীরচর্চার জন্য ব্যায়াম সামগ্রী ক্রয় করা।
৭। বোনের জন্য ঘড়ি ক্রয় করা।
৮। শিক্ষককে ঈদের বকশিশ প্রদান করা।
৯। স্কুলের সহপাঠীদের নিয়ে টিফিন করা।
১০। বন্ধুর জন্মদিনে উপহার দেওয়া।





ঘ নং প্রশ্নের উত্তর

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী করে এমন চারটি কাজের ব্যাখ্যাঃ

অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে এমন ২ টি কৃষি খাত হচ্ছে:

মৎস্য সম্পদঃ বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। এদেশে ছোট বড় অসংখ্য নদী জালের মতো বিস্তৃত হয়ে আছে। এসব নদ নদী ও জলাশযে মাছ চাষের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিহচ্ছে। কর্মসংস্থান, জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়ন, পুষ্টি সরবরাহ এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে মৎস্য সম্পদ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। জাতীয় আয়ের শতকরা প্রায় ৫.৩ ভাগ আসে মৎস্য সম্পদ থেকে। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের শতকরা প্রায়১০ ভাগ আসে মাছ ও মাছ জাতীয় পণ্য থেকে।

গবাদি পশু: কৃষির একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ থাত হলো গবাদি পশু। গৃহপালিত পশু থেকে নানা প্রকার উপজাত দ্রব্য, যেমন চামড়া, পশম, থুর, শিং, রক্ত, দাঁত, হাড়, নাড়িভুঁড়ি ও গোবর  পাওয়া যায়। উপজাত দ্রব্য থেকে নানাবিধ প্রয়োজনীয় শিল্পসামগ্রী প্রস্তুত করা হয়। এদেশে শতকরা প্রায় ২০ ভাগ জনগোষ্ঠী সরাসরি ও শতকরা ৫০ ভাগ পরোক্ষভাবে প্রাণিসম্পদের ওপর নির্ভরশীল। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে পশুর চামড়া অন্যতম ভূমিকা পালন করছে। চামড়া রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রার প্রায় ৪.৩১ % আয় হয়।

অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে এমন ২ টি অকৃষি খাত হচ্ছে:-

পোশাক শিল্পঃ বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকের (কেবলমাত্র ওভেন শার্ট) প্রথম চালানটি রপ্তানি হয় ১৯৭৮ সালে। এরপরেই বিদেশি ক্রেতাদের আগ্রহ বেড়ে যায় এবং এই শিল্প দ্রুত বেড়ে ওঠে। ১৯৮১-৮২ সালে মোট রপ্তানি আয়ে এই খাতের অবদান ছিল মাত্র ১.১%। ২০১০ সালের মার্চ মাসে তৈরি পোশাক শিল্পের অবদান দাঁড়িয়েছে মোট রপ্তানি আয়ের ৭৬%। সময়ের পরিক্রমায় তৈরি পোশাক আরও সম্প্রসারিত হয়ে ওভেন এবং নিটিং উপখাতে বিভক্ত হয়। ২০০২ সালে পোশাক রপ্তানিতে ওভেন ও নিটিং-এর অবদান ছিল যথাক্রমে ৫২.০৬% এবং ৮.৫৮%। 

ঔষধ শিল্প : উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন ঔষধ শিল্প দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ১৯৮২ সালে ঔষধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ প্রণয়নের পর থেকে এই শিল্পের উন্নয়ন গতিলাভ করেছে। বর্তমানে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ঔষধ রপ্তানি হচ্ছে। তাছাড়া এই শিল্প দেশের প্রয়োজনীয় চাহিদার শতকরা ৯৭ ভাগ সরবরাহ করছে। শীর্ষস্থানীয় ঔষধ কোম্পানিগুলি রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ক্রমশই বৃদ্ধি করছে।

দেশি ও বিদেশি কোম্পানি মিলে বাংলাদেশে বর্তমানে ২৫২টি সরকার অনুমোদিত ঔষধ কোম্পানি রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ঔষধ ব্যবসার শতকরা ৭৫ ভাগেরও বেশি দেশিয় কোম্পানিগুলি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

আরও দেখুন: এসএসসি ২০২২ সালের পরীক্ষাথীদের প্রতি সপ্তাহের উত্তর পাতে এখানে ক্লিক করুন

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.