Header Ads

নামায বিষয়ে আল্লাহ্ (জাঃ) এবং রাসূলুল্লাহ (স) এর বাণী

 নামায বিষয়ে আল্লাহ্ (জাঃ) পাক এবং রাসূলুল্লাহ (স) এর বাণী

=======================================

নামায বিষয়ে আল্লাহ্ (জাঃ) পাকের বাণী

=======================================

“নিশ্চয়ই আমিই আল্লাহ। আমি ছাড়া আর কোন মা'বুদ নেই । অতএব, আমার ইবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর।"(সূরা তোয়াহাঃ ১৪)

“আর আপনি দিনের দুই প্রান্তে এবং রাতের কিছু অংশের পর নামায কায়েম করুন। নিশ্চয়ই নেক আমলসমূহ গোনাহসমূহকে মিটিয়ে দেয়। এটা উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্য উপদেশ।” (সূরা হুদঃ ১১৪)

“আপনি আপনার পরিবারবর্গকে নামাযের নির্দেশ দিন এবং তার উপর দৃঢ় পদে স্থির থাকুন, আমি তো আপনার নিকট রিযিক চাই না, বস্তুতঃ আমিই আপনার রিযিক দিচ্ছি, প্রকৃত শুভ পরিণাম তো আল্লাহ ভীরুতার জন্যই। (সূরা তোয়াহাঃ ১৩২)

“আপনার নিকট কিতাবের যে অংশ ওহী করা হয়েছে, আপনি তা তেলাওয়াত করুন এবং নামায কায়েম করুন, নিশ্চয়ই নামায অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর যিকির (স্মরণ) অবশ্যই মহান, তোমরা যা করছ, আল্লাহ তা জানেন।” (সূরা আনকাবুতঃ ৪৫)

“যে ব্যক্তি আমার যিকির (স্মরণ) থেকে বিমুখ হবে, নিঃসন্দেহে তার জীবিকা হবে সংকীর্ণ, আর কিয়ামতের দিন তাকে উঠানো হবে অন্ধ করে। সে বলবে, হে আমার রব! আপনি কেন আমাকে অন্ধ করে উঠালেন, আমি তো নিঃসন্দেহে চক্ষুষ্মান ছিলাম, আল্লাহ তায়ালা বলবেন, এমনিভাবেই তো তোমার নিকট আমার আয়াতসমূহ এসেছিল, তখন তুমি সেগুলোকে ভুলে গিয়েছিলে। তেমনিভাবে আজ তোমাকে ভুলে যাওয়া হবে। (সূরা তোয়াহাঃ ১১৪-১১৭)

=======================================

নামায বিষয়ে হযরত মহানবী (সা.)-এর বাণী (হাদীসে আরবাঈন)

=======================================

হযরত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া আলা আলিহী ওয়া আসহাবিহী ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন:-

১. আল্লাহ তায়ালা আমার উম্মতের উপর সর্বপ্রথম নামায ফরজ করেছেন এবং কিয়ামত দিবসে সর্বপ্রথম নামাযেরই হিসাব নিবেন। ২. নামাযের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো, নামাযের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো, নামাযের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো।

৩. নামায মানুষ আর শিরক এর মধ্যে প্রতিবন্ধক।

৪. নামায হচ্ছে ইসলামের নিদর্শন, যে ব্যক্তি নামাযের সময় ও নিয়ম-নীতি পালন করে একাগ্রচিত্তে নামায পড়ে, সে হয় মু'মিন।

৫. আল্লাহ তায়ালা ঈমান ও নামায অপেক্ষা উত্তম কোন জিনিসই ফরজ করেন নাই। যদি এ থেকে উত্তম আরো কোন কাজ ফরজ করতেন, তাহলে ফেরেশতাদেরকে এর হুকুম দিতেন। ফেরেশতারা তো দিবা-নিশিই নিমগ্ন, কেউ রুকূতে আর কেউ সিজদাতে।

৬. নামায দ্বীনের স্তম্ভ। 

৭. নামাযে শয়তানের মুখ কালো হয়ে যায়।

৮. নামায মু'মিনের নূর (আলোকবর্তিকা)। 

৯. নামায উত্তম জিহাদ। 

১০. মানুষ যখন নামাযে মনোনিবেশ করে, তখন আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি পূর্ণ দৃষ্টি দেন আর সে যখন নামায থেকে সরে পড়ে, তখন আল্লাহ তায়ালাও তার রহমতের দৃষ্টি সরিয়ে নেন।

১১. যখন আসমান থেকে কোন বিপদ অবতীর্ণ হয়, তখন মসজিদ আবাদকারীদের থেকে হটে যায়।

১২. মানুষ যদি কোন গোনাহর কারণে জাহান্নামে যায় তাহলে দোযখের আগুন সেজদার অঙ্গগুলো স্পর্শ করবে না। ১৩. আল্লাহ তায়ালা সেজদার স্থানসমূহ আগুনের জন্য হারাম করে দিয়েছেন।

১৪. আল্লাহ তায়ালার নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় আমল সেই নামায, যা সময়মত পড়া হয়।

১৫. আল্লাহ তায়ালার নিকট বান্দার সমস্ত হালতের মধ্যে সবচেয়ে বেশী পছন্দনীয় হালত হলো যে, তাকে সেজদা অবস্থায় দেখেন যে তার কপাল মাটিতে ঘর্ষণ করতেছে।

১৬. মানুষের জন্য আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে বেশী নৈকট্য, সেজদার হালতে হাসিল হয়।

১৭. নামায জান্নাতের চাবি।

১৮. মানুষ যখন নামাযের জন্য খাড়া হয়, তখন জান্নাতের দরজাসমূহ “খুলে যায় এবং আল্লাহ তায়ালা ও সেই নামাযীর মধ্যকার পর্দা সরে যায়, যতক্ষণ না কাঁশি ইত্যাদিতে লিপ্ত হয়।

১৯. নামাযী, শাহানশাহর দরজায় করাঘাত করে, আর বিধান আছে যে, যে ব্যক্তি দরজায় খটখট আওয়াজ করতে থাকবে, তার জন্য দরজা খুলবেই ।

২০. সারা দেহের মধ্যে মাথার স্থান যেমন, দ্বীনের মধ্যে নামাযের স্থান তেমন।

২১. নামায অন্তরের নূর, যে ব্যক্তি নিজের দিল নূরানী করতে চায়, সে যেন (নামায় দিয়ে) করে নেয়।

২২. যে ব্যক্তি ভালভাবে অযু করে, খুশু খুযুর সাথে দুই বা চার রাকাত ফরজ বা নফল নামায আদায় করতঃ আল্লাহ তায়ালার কাছে স্বীয় গোনাহর জন্য মাফ চায়, আল্লাহ তায়ালা তাকে মাফ করে দেন।

২৩. যমীনের যে অংশে নামাযের মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করা হয়, সেই অংশ যমীনের অপর অংশের উপর ফখর (গর্ব) করতে থাকে।

২৪. যে ব্যক্তি দুই রাকাত নামায পড়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে কোন বিষয়ে দোয়া করে, আল্লাহ তায়ালা সে দোয়া কবুল করে নেন। অবশ্য এ কবুলিয়াত সাথে সাথেও হতে পারে কিংবা কোন যুক্তি সিদ্ধ কারণে বিলম্বেও হতে পারে।

২৫. যে ব্যক্তি একাকীত্বে (আল্লাহ তায়ালার প্রেমে নিবিষ্ট হয়ে) এইভাবে নামায পড়ে, যে আল্লাহ তায়ালা ও তার ফেরেশতা ছাড়া আর কেউ তাকে দেখতে পায় না। তাহলে সে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির পরওয়ানা পেয়ে যায়।

২৬. যে ব্যক্তি একটি ফরজ নামায আদায় করে, তার জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে একটি দোয়া কবুলের গ্যারান্টি হয়ে যায়।

২৭. যে ব্যক্তি গুরুত্ব সহকারে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে থাকে। আর রুকু সেজদা ইত্যাদিও গুরুত্ব সহকারে উত্তমরূপে পুরা করে, অনুব তখন তার জন্য ওয়াজিব হয়ে যায়, দোযখ হারাম হয়ে যায়।

২৮. মুসলমান যতক্ষণ পাঁচ ওয়াক্ত নামায গুরুত্ব সহকারে আদায় করতে থাকে, শয়তান ততক্ষণ তাকে ভয় করতে থাকে, আর যখন নামাযে ত্রুটি করতে থাকে তখন শয়তান তার উপর অধিকার স্থাপন করে ফেলে। এবং তাকে বিপথগামী করার আশা করতে থাকে।

২৯. মুস্তাহাব সময়ে নামায পড়া সর্বোত্তম কাজ।

৩০. নামায প্রত্যেক মুত্তাকী ব্যক্তির জন্য কুরবানী স্বরূপ।

৩১. আওয়াল (প্রথম) ওয়াক্তে নামায আদায় করা আল্লাহ তায়ালার নিকট সবচেয়ে বেশী পছন্দনীয় কাজ।

৩২. যে ব্যক্তি সকালে নামাযের জন্য (মসজিদে) যায়, তার হাতে ঈমানের ঝাণ্ডা থাকে, আর যে ব্যক্তি (নামায পড়া ছাড়া দুনিয়াবী মকছুদে) বাজারের দিকে যায়, তার হাতে শয়তানের ঝাণ্ডা থাকে।

৩৩. হুযুরে আকরাম সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেন, জোহরের প্রথম চার রাকাতের সওয়াব, তাহাজ্জুদের চার রাকাতের মত। অন্য বর্ণনায়, জোহরের প্রথম চার রাকাত তাহাজ্জুদের চার রাকাতের সমান বলে গণ্য।

৩৪. হযরত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন যে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের দৃষ্টান্ত এমন, যেমন কারো বাড়ীর সামনে একটি গভীর নদী প্রবাহিত আছে, আর সে এতে দৈনিক পাঁচবার গোসল করে অর্থাৎ পাঁচবার গোসল করলে যেমন শরীরে ময়লা থাকে না তদ্রূপ পাঁচবার নামায পড়লে গোনাহও থাকবে না।

৩৫. মানুষ যখন নামাযের জন্য খাড়া হয় তখন আল্লাহ তায়ালার রহমত তার প্রতি নিবিষ্ট হয় ।

৩৬. অর্ধ রাত্রির নামায সর্বোত্তম (নফল) নামায়, কিন্তু এর আদায়কারী খুবই কম।

৩৭. আমার কাছে হযরত জিবরাঈল (আ.) আসলেন এবং বললেন, হে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনি যতদিনই জীবিত থাকেন না। কেন, পরিশেষে একদিন মরতেই হবে এবং যার সাথে চান ভালোবাসা করতে পারেন, পরিশেষে একদিন পৃথক হতেই হবে, আর আপনি যে ধরনের কাজ করেন, ইহার প্রতিফল অবশ্যই পাবেন। এতেও কোন সন্দেহ নেই, যে তাহাজ্জুদের নামায মু'মিনের জন্য আভিজাত্য আর মানুষ থেকে বিমুখতা ও বেপরোয়ায়ী তার জন্য ইজ্জত ।

৩৮. শেষ রজনীতে দুই রাকাত নামায, সমস্ত দুনিয়া থেকে উত্তম। যদি আমাকে উম্মতের কষ্টের আশংকা না হতো, তাহলে আমি তা ফরজ করে দিতাম।

৩৯. তাহাজ্জুদ অবশ্যই পড়ো। কেননা তাহাজ্জুদ নেককারগণের তরীকা এবং আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্য লাভের উপায়। তাহাজ্জুদের নামায গোনাহ থেকে বিরত রাখে এবং তার গোনাহ মাফের উছিলা হয়। এতে শরীরের সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্য নসীব হয়।

৪০. আল্লাহ তায়ালার ইরশাদ যে, হে আদম সন্তান! তুমি দিনের প্রারম্ভে চার রাকাত আদায় করতে অপারগ হইও না। আমি সারাদিন তোমার সমস্ত কাজের (সহায়তায়) যথেষ্ট হবো।


আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সায়্যেদেনা মোহাম্মাদিও ওয়া আলা আলীহি ওয়া আসহাবীহি ওয়া আযওয়াজিহি ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম।

নামায বিষয়ে আল্লাহ্ (জাঃ) পাক এবং রাসূলুল্লাহ (স) এর বাণী


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.